হোসেনের ছেলে।
ওর ছোটবেলা থেকেই মোটরসাইকেলের প্রতি প্রচুর আগ্রহ ছিল আর লেখাপড়ার পাশাপাশি সে গ্যারেজে আসতো বাবার হাতে হাতে কাজ করে দিতে। অবশেষে মাধ্যমিকের পড়াশোনা শেষ করে সে যখন ভোকেশনালে ভর্তি হয় তখন তার বাবা মারা যায়। পরবর্তীতে রাজুর আর লেখাপড়া করা হয় না কারন বাবার অবর্তমানে সংসারের সব দায়িত্ব তার কাধের ওপরে এশে পরে। শেষমেশ অনেকটাই বাধ্য হয়ে তাকে মোটর ম্যাকানিকের কাজ শুরু করতে হয়। অল্পকিছুদিনের ভেতরেই সে ভালো করতে থাকে আর তখন থেকে তার মাথায় এই উদ্ভাবনী বুদ্ধিটি আসে। রাজু তার কাজের ফাকে সময় বের করে তার বাইকটি তৈরি করতে থাকে।
রাজু বলে, ২০১২ সালে সে এটি নিয়ে কাজ শুরু করে আর টানা ২ বছর কঠিন পরিশ্রম করার পরে তার স্বপ্নটি বাস্তবে রুপ নেয়। ওর গবেষণা চলাকালীন এটির পেছনে সর্বমোট প্রায় দেড় লক্ষাদিক টাকা খরচ হয়েছে বলে সে দাবি করেছে। কিন্তু বর্তমানে তার একটি সম্পূর্ণ মোটরসাইকেল তৈরি করতে খরচ হবে ৮৫ হাজার টাকার মতো। এই মোটরসাইকেলটি তৈরিতে ব্যাবহার হয়েছে একটি বৈদ্যুতিক মোটর, ৪ টি ১২ ভোল্টের ব্যাটারি এবং একটি কন্ট্রোল বোর্ড। মোটরসাইকেলের ব্যাটারি গুলো সম্পূর্ণ চার্জ হতে মাত্র ৩ ঘণ্টার মতো সময় লাগবে এবং একবার ফুল চার্জ হয়ে গেলে প্রাই ১৫০ কিমি পর্যন্ত পথ পাড়ি দেয়া যাবে বলে রাজু জানিয়েছে।
রাজু আশা করছে যদি সরকারি বা বেসরকারি ভাবে কোন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসে তবে বাণিজ্যিকভাবে এই বাইক উৎপাদন করা এবং দেশের পরিবেশ রক্ষায়
Leave your comment
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
hi nice